শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
নিজেকে মৃত প্রমাণ করতে বন্ধুত্ব পাতিয়ে খুন!

নিজেকে মৃত প্রমাণ করতে বন্ধুত্ব পাতিয়ে খুন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হত্যার উদ্দেশ্যে পাতিয়েছেন বন্ধুত্ব। এরপর ডেকে নিয়ে করেছেন খুন।

এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতে। এরইমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে দেশটির নয়ডার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বুন্দলশহরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- পায়েল ভাটি (২২) ও তার প্রেমিক অজয় ঠাকুর। খুন হওয়া তরুণীর নাম হেমা চৌধুরি। হেমা গৌড় সিটি মলের কর্মচারী ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পায়েল এবং তার প্রেমিক অজয় প্রথমে মৃত তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। ওই তরুণী এবং পায়েলের মধ্যে শারীরিক গঠনে অনেক মিল থাকার কারণেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান তারা। এ বন্ধুত্ব ছিল এক বড় ষড়যন্ত্রের অংশ।

পুলিশ জানায়, হেমা কাজ শেষ করে গৌড় সিটি মল থেকে বেরোনোর পর তাকে নিজেদের বধপুরার বাড়িতে নিয়ে যান পায়েল এবং অজয়। সেখানে হেমাকে হত্যার পর তার কব্জি কেটে দেন অভিযুক্তরা। মুখ বিকৃত করার জন্য ঢেলে দেওয়া হয় গরম তেল। এরপর সুইসাইড নোটে পায়েল লেখেন, রান্নাঘরে আমার মুখে গরম তেল পড়েছে এবং আমি এভাবে বাঁচতে পারব না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এরপর পায়েল তার পোশাক মরদেহে পরিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

সুইসাইড নোটের লেখা অনুযায়ী- নিহত তরুণীর দেহ পায়েলের মনে করে তা পায়েলের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন না করেই সেই লাশ দাহ করা হয়। মুখ চেনা না গেলেও চেহারায় মিল থাকায় তারা মেনে নিয়েছিলেন এ দেহ পায়েলরই।

কিন্তু হেমা নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা বিসরাখ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযানে নামে। শপিং মলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ এবং হেমার ফোন খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা দেখেন, হেমার ফোন শেষ বার পায়েলের বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে সক্রিয় ছিল। এরপর ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায়।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন, পায়েল বলে যে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা আসলে হেমার।

পুলিশ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পায়েলের বাবা-মা প্রায় ছ’মাস আগে আত্মহত্যা করেন। বাবা-মার মৃত্যুর জন্য বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িকেই দায়ী করেন পায়েল। তাদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের হত্যার ছক কষছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজেকে মৃত প্রমাণিত করার পরিকল্পনা করেন।

নয়ডা পুলিশের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। আর পায়েলের প্রেমিক অজয় পুরো ঘটনায় কতটা জড়িত ছিলেন, তাও তদন্ত করা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com